বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান Madhyamik Bengali Suggestion 2023

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান Madhyamik Bengali Suggestion 2023
মাধ্যমিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান সাজেশন ২০২4

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান Madhyamik Bengali Suggestion 2024 | মাধ্যমিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান সাজেশন ২০২4 যদি যদি কোন কিছু বাদ পড়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমরা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আমরা এই যে সাজেশন তৈরি করে দিলাম এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই কিন্তু full সাজেশনটা আপনারা কমপ্লিট করে নেবেন কারণ সমস্ত প্রশ্ন মাথায় রেখে এই সাজেশনটা তোমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নিচে পিডিএফও দেওয়া রয়েছে অবশ্যই তোমরা পিডিএফ তাকে করে নেবে এবং তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দেবে। Madhyamik Bengali বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান Suggestion 2023

যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে বা বলার থাকে অবশ্যই নিজের কমেন্ট বক্সটিতে ক্লিক করে কমেন্ট করে দেবেন তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে কার কোথায় অসুবিধা রয়েছে বা সুবিধা হচ্ছে। Madhyamik Bengali বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান Suggestion 2023

আশা করব সম্পূর্ণ সাজেশনটা তোমাদের খুব কাজে আসবে তাই অনেক কষ্ট করে এই সাজেশনটা বানানো হয়েছে।

Madhyamik Bengali বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান Suggestion 2023 দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই অংকে সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৩ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে।

চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ। Madhyamik Bengali বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান Suggestion 2023

মাধ্যমিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান সাজেশসাজেশন ২০২4

 


অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ( রাজশেখর বসু ) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023

1. “তারা কিছুই জানে না।” — কারা, কোন বিষয় জানে না?
উত্তর ➺ প্রাবন্ধিকের মতে উল্লেখিত প্রথম শ্রেণির পাঠক সুশৃঙ্খল আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পর্কে কিছুই জানে না।

2. “তাদের সংস্কারের বিরোধী নয়।” — কোন বিষয়, কেন সংস্কারের বিরোধী নয়?
উত্তর ➺ বাংলা পরিভাষা আয়ত্ত করে বাংলায় বিজ্ঞান শেখা বিষয় ইংরেজি না-জানা পাঠকদের কাছে সংস্কারের বিরোধী নয়।

3. “ইংরেজি প্রভাব থেকে মুক্ত।” — কাদের সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে?
উত্তর ➺ অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে তাদের সম্পর্কে উদ্ধৃত কথাটি বলা হয়েছে।

4. “এর মানে বুঝতে বাধা হয়নি।” — কোন্ কথার মানে বুঝতে কোনো বাধা হয়নি?
উত্তর ➺ প্রাবন্ধিকের ভাষাগত বিরোধী সংস্কার না-থাকায় ব্ৰত্মমোহন মল্লিকের জ্যামিতিতে লেখা, এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কন করতে হবে, কথাটির মানে বুঝতে কোনো বাধা হয়নি।

5. “অভ্যাস করা একটু শক্ত।” — কার কাছে, কীসের অভ্যাস শক্ত?
উত্তর ➺ আজন্ম ইজার পরা লোকের কাছে হঠাৎ ধুতি পরার অভ্যাস করা একটু শক্ত।

6. “তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন।” — কারা, কোন্ কাজে ‘অনেকে মুশকিলে পড়েছেন’?
উত্তর ➺ রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালানোয় সরকারের কাজে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন।

7. প্রাবন্ধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের যে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন তার উল্লেখ করো।
উত্তর ➺ প্রাবন্ধিকের ভাগ করা বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের পাঠকদের দুটি শ্রেণি হল — যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে আর যারা ইংরেজি জানে ও ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।

8. “এই শ্রেণিতে পড়ে।”—কারা, কোন শ্রেণিতে পড়ে?
উত্তর ➺ অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক যারা ইংরেজি জানে বা অতি অল্প জানে তারা প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

9. “অনেক রকম স্থূল তথ্যও তাদের জানা থাকতে পারে।”—তাদের জানা দুটি স্কুল তথ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর ➺ তাদের জানা সম্ভব এমন দুটি স্থূল তথ্য হল — (১) জল আর কপূর উবে যায় এবং (২) পিতলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম হালকা। (এ ছাড়া তৃতীয়টি হল—লাউ, কুমড়ো জাতীয় গাছে দু-রকম ফুল হয়।)

10. “ভাষার জন্য তার বাধা হয় না।”—কোন কাজে, কাদের বাধা হয় না? তাদের কী করতে হয়?
উত্তর ➺ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শেখার কাজে ইংরেজি না-জানা বা অতি অল্প ইংরেজি জানা পাঠকদের বাধা হয় না। তাদের কেবল যত্ন করে বিষয়টি বুঝতে হয়।

11. “মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হয়।”—কোন্ সময়, কাদের মাতৃভাষার পদ্ধতি’ আয়ত্ত করতে হয়?
উত্তর ➺ প্রাবন্ধিকের কথা অনুযায়ী ইংরেজি জানা, ইংরেজি ভাষায় কমবেশি বিজ্ঞান পড়া পাঠকেরা যখন বাংলা ভাষায় লেখা বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ পড়ে, তখন তাদের মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হয়।

12. “এখনও নানারকম বাধা আছে।”—কোন্ বিষয়ে, কেন এখনও বাধা আছে?
উত্তর ➺ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে, পারিভাষিক শব্দের অপ্রতুলতার জন্য এখনও বাধা আছে।

13. “তার ফলে তাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।”—কাদের চেষ্টা, কেন সফল হয়?
উত্তর ➺ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির চেষ্টা, একযোগে কাজ করার জন্য অধিকতর সফল হয়।

14. “বাংলায় চালানো যেতে পারে।”—প্রাবন্ধিক কী চালানোর কথা বলেছেন?
উত্তর ➺ প্রাবন্ধিক নবাগত রাসায়নিক বস্তুর নাম, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জাতিবাচক বা পরিচয়বাচক অধিকাংশ ইংরাজি সার্বজাতিক (International) নাম বাংলায় চালানোর কথা বলেছেন।

15. “বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন।”—কেন?
উত্তর ➺ আমাদের দেশের জনসাধারণের প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে কিছুটা পরিচয় না-থাকায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন হয়।

16. “সাধারণে সহজেই বোঝে।”—কোনো স্থানের জনসাধারণ কী, কেন সহজে বুঝতে পারে?
উত্তর ➺ ইউরোপ ও আমেরিকার জনসাধারণ, সেখানকার পপুলার সায়েন্স লেখা সুসাধ্য হওয়ার কারণে বিজ্ঞান বিষয়ক যে-কোনো সন্দর্ভ সহজে বুঝতে পারে।

17. “তাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।”—“তাদের লেখা’ কীভাবে জনপ্রিয় হতে পারে?
উত্তর ➺ আমাদের দেশের বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভে লেখকদের লেখা যদি প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতো গোড়া থেকে সবার বোধগম্য করে লেখা হয়, তবে তা জনপ্রিয় হতে পারে।

18. “নানা ত্রুটি হতে পারে।”—কীসে, কেন ত্রুটির সম্ভাবনা?
উত্তর ➺ পরিভাষা রচনা কোনো ব্যক্তির একার কাজ নয়—যুগ্নকাজ, সেই কাজ একা করতে গেলে অর্থাৎ সমবেতভাবে না-করলে ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে।

19. “উপযুক্ত ব্যবস্থা করা আবশ্যক।”—উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা কী?
উত্তর ➺ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংকলিত পরিভাষা বড়ো নয়—আরও শব্দের প্রয়োজন আর এই ব্যাপারেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা আছে।

20. “তারা বিধান দিয়েছেন,”—কারা, কী বিধান দিয়েছেন?
উত্তর ➺ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি বিধান দিয়েছেন—নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলা বানানে চলবে।

21. “তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।”—কখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্যরচনা সুসাধ্য হবে? অথবা,তখন’বলতে কোন্ সময়কে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর ➺ কালক্রমে যখন এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হবে এবং সমস্ত অসুবিধা দূর হবে, তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।

22. “তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।” — তখন’বলতে কোন্ সময়কে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর ➺ ‘তখন’ বলতে সময়ান্তরে বিজ্ঞান শাখার বিস্তার ও সমস্ত অসুবিধা দূর হওয়ার সময়কে বোঝানো হয়েছে।

23. ‘রচনাপদ্ধতি’আয়ত্ত করতে না-পারা লেখকদের লেখা সম্পর্কে প্রাবন্ধিকের মত কী?
উত্তর ➺ রচনাপদ্ধতি আয়ত্ত করতে না-পারা লেখকদের লেখা সম্পর্কে প্রাবন্ধিক বলেছেন—অনেক স্থানে তাদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যায়।

24. “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে,”–‘দোষটি কী?
উত্তর ➺ দোষটি হল বিজ্ঞান আলোচনার রচনাপদ্ধতি আয়ত্ত করতে না-পারার কারণে লেখকদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যাওয়া।

25. “কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় দেখেছি”—কে, কী দেখেছিলেন?
উত্তর ➺ প্রাবন্ধিক রাজশেখর বস একটি পত্রিকায় দেখেন জনৈক লেখক লিখেছেন -অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্ব্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবের বেঁচে থাকবার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র।

26. “এই রকম ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।” — ভুল লেখাটি কী?
উত্তর ➺ ভুল লেখাটি হল–অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবের বেঁচে থাকার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র। তবে ওজন গ্যাস স্বাস্থকর।

27. “এরকম মাছিমারা নকল না করে,”–‘মাছিমারা’ নকলটি উল্লেখ করো।
উত্তর ➺ When the Sulpher burns in air the Nitrogen does not take part is the reactiori, কথায় ‘মাছিমারা’ নকলটি হল- যখন গন্ধক পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় আশগ্রহণ করে না।

28. “লিখলে বাংলা ভাষায় বজায় থাকে।”—কী লেখার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর ➺ প্রাবন্ধিক উল্লেখিত ‘মাছিমারা নকল’ -এর বদলে ‘নাইট্রোজেন কোনো পরিবর্তন হয় না’ লেখার কথা বলা হয়েছে।

29. “এতে রচনা উকট হয়।” — রচনা কীসে উৎকট হয়ে ওঠে?
উত্তর ➺ ইংরেজিতে ভাবা বক্তব্যের যথাযথ বাংলা অনুবাদে প্রকাশ করার চেষ্টায় রচনা উৎকট হয়।

30. রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কী?
উত্তর ➺ রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম পরশুরাম।

31. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল?
উত্তর ➺ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল ১৯৩৬ সালে।

32. ‘তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে’- কখন?
উত্তর ➺ লেখকের মতে, কালক্রমে আমাদের দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার ঘটলে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।

33. “এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।”—কোন্ ধারণা সম্পূর্ণ ঠিক নয়?
উত্তর ➺ অনেকের মনে করা পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশে রচনা সহজ হয়-ধারণাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয়।

34. পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর ➺ পরিভাষার উদ্দেশ্য হল ভাষার সংক্ষেপ এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।

35. “এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত।”—কো কথা সব লেখকের মনে রাখা উচিত?
উত্তর ➺ বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা আত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক—এই কথাটি সবসময় লেখকদের মনে রাখা উচিত।

36. “অনেক লেখক মনে করেন,”—লেখকরা কী মনে করেন?
উত্তর ➺ এই লেখকরা মনে করেন–ইংরেজি সব্দের যে অর্থব্যাপ্তি বা Connotation, বাংলা প্রতিশব্দেরও ঠিক তাই হওয়া চাই।

37. “ইংরেজি Sensitive শব্দ নানা অর্থে চলে।”—প্রাবন্ধিক ব্যবহৃত অর্থগুলি লেখো।
উত্তর ➺ ইংরেজি Sensitive শব্দের প্রাবন্ধিক উল্লেখিত অর্থগুলি হল—Sensitive Person, Wound, Plant, Balance, Photographic Paper ইত্যাদি।

38. ‘এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে…’- কোন দোষের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর ➺ ভাষার আড়ষ্টতা এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদের প্রবণতা।

39. প্রথমশ্রেণির পাঠকরা যে গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ শিখেছে তাদের নাম উল্লেখ করাে।
উত্তর ➺ পারিভাষিক শব্দগুলি হল টাইফয়েড, আয়োডিন, মোটর, ক্রোটন, জেব্রা।

40. লেখক ছেলেবেলায় ব্রহ্মমােহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি বইয়ে কী পড়েছিলেন?
উত্তর ➺ লেখক পড়েছিলেন, “এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার উপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কিত করিতে হইবে।”

41. ‘তাঁদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।’ – কাদের চেষ্টা সফল হয়েছে।
উত্তর ➺ ১৯৩৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন, এখানে সেই সমিতির কথা বলা হয়েছে।

42. ‘যতদিন উপযুক্ত ও প্রামাণিক বাংলা শব্দ রচিত না হয়’- ততদিন কী হবে?
উত্তর ➺ ততদিন ইংরেজি শব্দ বাংলা বানানে চালানো ভালো বলে লেখক মন্তব্য করেছেন।

43. ‘তাঁদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।’ – কাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না?
উত্তর ➺ যারা জনসাধারণের জন্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা লেখেন, এখানে তাদের কথা বলা হয়েছে।

44. ‘সুগ্রাহী কাগজ লিখলে ভালাে হয়।’- কীসের অনুবাদ সুগ্রাহী কাগজ?
উত্তর ➺ Sensitized Paper-এর অনুবাদ হল সুগ্রাহী কাগজ।

45. ‘এতে রচনা উৎকট হয়’ – কীসে রচনা উকট হয়?
উত্তর ➺ কোনো লেখক যদি তার বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং তারপর সেটির যথাযথ বাংলা অনুবাদ করে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন, সেই রচনা উৎকট হয়।

46. “কালিদাসের এই উক্তি কাব্যেরই উপযুক্ত” উক্তিটি কী?
উত্তর ➺ উক্তিটি হল, ‘হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদন্ড’।

47. পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?
উত্তর ➺ পরিভাষার উদ্দেশ্য ভাষার সংক্ষিপ্ত এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।

48. লেখক International শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে কোন শব্দ ব্যবহার করেছেন?
উত্তর ➺ লেখক International শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ‘সার্বজাতিক’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

49. ‘হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদন্ড’- উক্তিটি কোন কবির?
উত্তর ➺ মহাকবি কালিদাসের উক্তি।

50. আলংকারিকগণ শব্দের যে ত্রিবিধ কথা বলেছেন সেগুলি কী কী?
উত্তর ➺ অভিধা, লক্ষণা এবং ব্যঞ্জনা।

51. লেখকের মতে ‘Blue print’-এর যথার্থ বাংলা প্রতিশব্দ কী হওয়া উচিত?
উত্তর ➺ লেখকের মতে ‘Blue print’-এর যথার্থ বাংলা প্রতিশব্দ হওয়া উচিত নকশা।

52. লেখক কী করাকে ‘মাছিমারা নকল’ বলেছেন?
উত্তর ➺ ‘When sulphur burns in air the nitrogen does not take part in the reaction’- এই ইংরেজি বাক্যের বাংলা অনুবাদ যদি এরূপ করা হয়- ‘ যখন গন্ধক হাওয়ায় পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না’, তবে তা হবে মাছিমারা নকল।

53. ‘এই ধারণা পুরােপুরি ঠিক নয়।’ – কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর ➺ অনেকে মনে করেন যে, পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়। লেখকের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।

54. ‘এই রকম ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।’ – কীরকম লেখা?
উত্তর ➺ অখ্যাত লেখকের ভ্রান্তিপূর্ণ রচনা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর। উদাহরণ হিসেবে লেখক কোনো এক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রচনার উল্লেখ করেছেন যাতে বলা হয়েছে যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর নয় বরং ওজন গ্যাস স্বাস্থ্যকর।


প্রশ্ন (প্রশ্নমান – 1) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ( রাজশেখর বসু ) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

১. বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধটির লেখক
(ক) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় (খ) জগদীশচন্দ্র বসু (গ) রাজশেখর বসু (ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু
উত্তরঃ (গ) রাজশেখর বসু

২. যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয়, তাদের মোটামুটি ক-টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
(ক) চারটি (খ) পাঁচটি (গ) দুটি (ঘ) তিনটি
উত্তরঃ (গ) দুটি

৩. একটি নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর কী অঙ্কন করতে হবে?
(ক) সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ (খ) বিষমবাহু ত্রিভুজ (গ) সমকোণী ত্রিভুজ (ঘ) সমবাহু ত্রিভুজ
উত্তরঃ (ঘ) সমবাহু ত্রিভুজ

৪. জলের মতো আর একটি উদ্বায়ী পদার্থ
(ক) আয়োডিন (খ) ক্রোটন (গ) কপূর (ঘ) বেঞ্জিন
উত্তরঃ (গ) কপূর

৫. পিতলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম
(ক) ভারী (খ) হালকা (গ) ওজনদার (ঘ) মসৃণ
উত্তরঃ (খ) হালকা

৬. লাউ, কুমড়ো জাতীয় গাছে ফুল হয়
(ক) একরকম (খ) দু-রকম (গ) তিনরকম (ঘ) চাররকম
উত্তরঃ (খ) দু-রকম

৭. আজন্ম ইজার পরা লোকের পক্ষে হঠাৎ অভ্যাস করা শক্ত
(ক) ধুতি পরা (খ) লুঙ্গি পরা (গ) কোট-প্যান্ট পরা (ঘ) কোট-প্যান্ট-টাই পরা
উত্তরঃ (ক) ধুতি পরা

৮. কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলন খুব বড়ো নয়?
(ক) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (খ) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (গ) উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (ঘ) কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরঃ (ক) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

৯. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করে
(ক) ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (খ) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে

১০. ‘প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন’ একটি
(ক) রাসায়নিক তথ্য (খ) রাসায়নিক প্রক্রিয়া (গ) রাসায়নিক বস্তু (ঘ) উদ্ভিজ্জ বস্তু
উত্তরঃ (গ) রাসায়নিক বস্তু

১১, ‘International’ শব্দটি সমিতি নিযুক্ত করে
(ক) সর্বজাতীয় (খ) সকলজাতিক (গ) সর্বস্বজাতীয় (ঘ) সার্বজাতিক
উত্তরঃ (ঘ) সার্বজাতিক

১২. বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝার জন্য অবশ্য প্রয়োজন
(ক) বিজ্ঞানের জ্ঞান (খ) বিজ্ঞানের পরিভাষা (গ) কিঞ্চিৎ প্রাথমিক বিজ্ঞান (ঘ) বিজ্ঞানের সামগ্রিক জ্ঞান
উত্তরঃ (গ) কিঞ্চিৎ প্রাথমিক বিজ্ঞান

১৩. সাধারণে পপুলার বিজ্ঞান বুঝতে পারে
(ক) এশিয়া ও ইউরোপে (খ) ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় (গ) ইউরোপে ও আমেরিকায় (ঘ) আমেরিকায় ও জার্মানিতে
উত্তরঃ (গ) ইউরোপে ও আমেরিকায়

১৪. “বাংলা প্রতিশব্দেরও ঠিক তাই হওয়া চাই।”—“ঠিক তাই’বলতে বোঝায়
(ক) অর্থবোধ (খ) অর্থবিস্তার (গ) অর্থব্যাপ্তি (ঘ) অর্থান্তরন্যাস
উত্তরঃ (গ) অর্থব্যাপ্তি

১৫. কোন্ পরিভাষা লিখলে Sensitized Paper’-এর অনুবাদঠিকহবে?
(ক) সুগ্রাহী কাগজ (খ) সুসংবেদী কাগজ (গ) স্পর্শকাতর কাগজ (ঘ) শোষক কাগজ
উত্তরঃ (ক) সুগ্রাহী কাগজ

১৬. “যেসব জন্তুর শিরদাঁড়া নেই,”—কথাটি যার বদলে লেখা যেতে পারে তা হল
(ক) শিরহীন (খ) অমেরুদণ্ডী (গ) শিরাবিহীন (ঘ) মেরুদণ্ডী
উত্তরঃ (খ) অমেরুদণ্ডী

১৭. পরিভাষার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য
(ক) অর্থ যথাযথ করা (খ) অর্থ নির্দিষ্ট করা (গ) অর্থ সুনির্দিষ্ট করা (খ) অর্থ প্রকাশ করা
উত্তরঃ (গ) অর্থ সুনির্দিষ্ট করা

১৮. আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের কত ধরনের কথা বলেছেন?
(ক) একক (খ) ত্রিবিধ (গ) দ্বৈত (ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (খ) ত্রিবিধ

১৯. “হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড’–এই উক্তিটি কার?
(ক) জয়দেবের (খ) রূপ গোস্বামীর (গ) কালিদাসের (ঘ) শ্রীজীব গোস্বামীর
উত্তরঃ (গ) কালিদাসের

২০. অরণ্যে রোদন’কথাটির অর্থ
(ক) নিষ্ফল আবেদন (খ) ভূমিকা (গ) সংকীর্ণমনা (ঘ) দীর্ঘসূত্রতা
উত্তরঃ (ক) নিষ্ফল আবেদন

২১. কোন্ প্রবাদটি প্রমাণ হিসেবে আমাদের সাময়িক প্রশ্নাদিতে পাওয়া যায় ?
(ক) গৌরচন্দ্রিকা (খ) অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী (গ) ডুমুরের ফুল (ঘ) হাতের পাঁচ
উত্তরঃ (খ) অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী


অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ( রাজশেখর বসু ) প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023

কারক-বিভক্তি

১. “ছেলেবেলায় আমাকে ব্ৰষ্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি পড়তে হয়েছিল।”—এখানে ‘ছেলেবেলায়’ পদটি
(ক) কর্তৃকারকে ‘য়’ বিভক্তি (খ) নিমিত্ত কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (গ) অপাদান কারকে ‘য়’ বিভূক্তি (ঘ) অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি
উত্তরঃ (ঘ)

২. “পরিভাষা রচনা একজনের কাজ নয়।”—‘একজনের পদটি
(ক) কর্তৃকারকে ‘এর’ বিভক্তি (খ) কর্মকারকে ‘এর’ বিভক্তি (গ) করণকারকে ‘এর’ বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পদে ‘এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (খ)

৩. “এ দেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য।”–‘বৈজ্ঞানিক জ্ঞান’ পদটি
(ক) কর্মকারকে ‘শূন্য বিভক্তি (খ) সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি (গ) করণকারকে ‘অ’ বিভক্তি (ঘ) অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি
উত্তরঃ (ক)

৪. “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন।” ‘আলংকারিক’ পদটি
(ক) কর্তৃকারকে ‘গণ’ উপসর্গ (খ) কর্তৃকারকে ‘গণ’ বিভক্তি (গ) কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি
উত্তরঃ (গ)

৫. “সাময়িক প্রশ্নাদিতে মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।”—প্রশ্নাদিতে’ পদটি
(ক) অপাদান কারকে ‘তে বিভক্তি (খ) অধিকরণ কারকে ‘তে’ বিভক্তি (গ) অধিকরণ কারকে ‘ইতে’ বিভক্তি (ঘ) অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি
উত্তরঃ (খ)

সমাস

৬. “অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক এই শ্রেণিতে পড়ে।”—‘অল্পশিক্ষিত সমাসবদ্ধ পদের সঠিক ব্যাসবাক্য হবে
(ক) অল্পভাবে শিক্ষিত (খ) অল্পকথায় শিক্ষিত (গ) অল্প পরিমাণ শিক্ষিত (গ) অল্প সংখ্যায় শিক্ষিত
উত্তরঃ (গ)

৭. “সমবাহু ত্রিভূজ অঙ্কিত করিতে হইবে।”—“ত্রিভুজ’ শব্দের ব্যাসবাক্য ত্রিভুজের সমাহার’ হলে সমাস হবে
(ক) ব্যধিকরণ বহুব্রীহি (খ) সমাহার দ্বিগু (গ) সংখ্যাপূর্বক বহুব্রীহি (ঘ) সম্বন্ধ তৎপুরুষ
উত্তরঃ (খ)

৮. ইংরেজি শব্দের যে অর্থব্যাপ্তি বা Connotation…।”অর্থব্যাপ্তি শব্দের যথার্থ ব্যাসবাক্য হবে
(খ) অর্থ হেতু ব্যাপ্তি (ক) অর্থ দ্বারা ব্যাপ্তি (গ) অর্থজনিত ব্যাপ্তি (ঘ) অর্থের ব্যাপ্তি
উত্তরঃ (ঘ)

৯. “অনুবাদ স্পর্শকাতর কাগজ অতি উৎকট”-স্পর্শকাতর’ শব্দের ব্যাসবাক্য ‘স্পর্শ হেতু কাতর’ হলে সমাস হবে
(ক) করণ তৎপুরুষ (খ) অপাদান তৎপুরুষ (গ) অধিকরণ তৎপুরুষ (ঘ) নিমিত্ত তৎপুরুষ
উত্তরঃ (ক)

১০. “এরকম বর্ণনা বাংলা ভাষায় প্রকৃতিবিরুদ্ধ।”–‘প্রকৃতিবিরুদ্ধ’ শব্দের ব্যাসবাক্য প্রকৃতির বিরুদ্ধ’ হলে সমাস হবে
(ক) উপপদ তৎপুরুষ (খ) সম্বন্ধ তৎপুরুষ (গ) কর্মধারয় সমাস (ঘ) বহুব্রীহি সমাস
উত্তরঃ (খ)

বাক্য

১১. “দ্বিতীয় যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অম্লাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।”—এটি একটি
(ক) সরলবাক্য (খ) যৌগিক বাক্য (গ) জটিল বাক্য (ঘ) মিশ্র বাক্য
উত্তরঃ (খ)

১২. “তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন।”—বাক্যটি
(ক) বিবৃতিমূলক (খ) ইচ্ছাববাধক (গ) অনুজ্ঞাসূচক (ঘ) প্রার্থনাসূচক
উত্তরঃ (ক)

১৩. “পূর্বোক্ত প্রথম শ্রেণির পাঠক যখন বাংলায় বিজ্ঞান শেখে তখন ভাষার জন্য তার বাধা হয় না।”—বাক্যটি গঠনগতভাবে
(ক) জটিল বাক্য (খ) যৌগিক বাক্য (গ) সরলবাক্য (ঘ) মিশ্র বাক্য
উত্তরঃ (ক)

১৪. “সাধারণ সাহিত্যে লক্ষণা বা ব্যাঞ্জনা এবং উৎপ্রেক্ষা, অতিশয়োক্তি প্রভৃতি অলংকারের সার্থক প্রয়োগ হতে পারে কিন্তু বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে যত কম থাকে ততই ভালো।”—এই বাক্যটি
(ক) সরলবাক্য (খ) জটিল বাক্য (গ) যৌগিক বাক্য (ঘ) মিশ্র বাক্য
উত্তরঃ (গ)

১৫. “এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত।”—বাক্যটি
(ক) নির্দেশমূলক (খ) অনুজ্ঞাবাচক (গ) সন্দেহমূলক (ঘ) নির্দেশক
উত্তরঃ (ঘ)

বাচ্য

১৬. “প্রথম শ্রেণির পাঠকদের বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় নেই।” বাচ্যগতভাবে বাক্যটি
(ক) কর্তৃবাচ্য (খ) কর্মবাচ্য (গ) ভাববাচ্য (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
উত্তরঃ (গ)

১৭. “আমাদের সরকার ক্রমে ক্রমে রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন।” এটি একটি
(ক) কর্তৃবাচ্য (খ) কর্মবাচ্য (গ) ভাববাচ্য (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
উত্তরঃ (ক)

১৮. “একই ইংরেজি সংজ্ঞার বিভিন্ন প্রতিশব্দ রচিত হয়েছে।”—এই বাচ্যটি
(ক) কর্মকর্তৃবাচ্য (খ) ভাববাচ্য (গ) কর্তৃবাচ্য (ঘ) কর্মবাচ্য
উত্তরঃ (ঘ)

১৯. “অনেক লেখক মনে করেন,”—এই বাক্যের ভাববাচ্য হবে
(ক) অনেক লেখক কর্তৃক মনে করা হয় (খ) অনেকের মনে করা হয় (গ) অনেক লেখকের মনে করা হয় (ঘ) অনেক লেখকের দ্বারা মনে কৃত হয়
উত্তরঃ (গ)

২০. “কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় দেখেছি।”—বাচ্যগতভাবে এই বাক্যটি
(ক) কর্তৃবাচ্য (খ) কর্মবাচ্য (গ) ভাববাচ্য (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
উত্তরঃ (ক)

 

১. “অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক এই শ্রেণিতে পড়ে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।
উত্তরঃ অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক–কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

২. “যেমন জল আর কর্পূর উবে যায়।”—রেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি লেখো।
উত্তরঃ কপূর-কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৩. “ছেলেবেলায় আমাকে ব্ৰত্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি পড়তে হয়েছিল।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ ছেলেবেলায়—অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।

৪. “শুধু বিষয়টি যত্ন করে বুঝতে হবে।”—’যত্ন’ পদটির কারক-বিভক্তি কী হবে?
উত্তরঃ যত্ন করণকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৫. “বাংলা পারিভাষিক শব্দ প্রচুর নেই।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।
উত্তরঃ বাংলা পারিভাষিক শব্দ—কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

সমাস

৬. “যেমন ‘অমেরুদণ্ডী’র বদলে লেখা যেতে পারে…।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো।
উত্তরঃ অমেরুদণ্ডী—নেই মেরুদণ্ড যার (নঞ বহুব্রীহি সমাস)।

৭. “একটি নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার উপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কিত করিতে হইবে।”—“ত্রিভুজ’ পদটির সমাস কী হবে?
উত্তরঃ ত্রিভুজ—ত্রি অর্থাৎ তিনটি ভুজের সমাহার (সমাহার দ্বিগু সমাস)।

৮. “অবশ্য কালক্রমে এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হলে এই অসুবিধা দূর হবে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।
উত্তরঃ অসুবিধা—নয় সুবিধা (নঞ তৎপুরুষ সমাস)।

৯. “হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো।
উত্তরঃ হিমালয়—হিমের আলয় (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)।

১০. “তবে অনর্থক কথা বেড়ে যায়।”—“অনর্থক’ পদটির সমাস কী হবে?
উত্তরঃ অনর্থক—নয় অর্থক (নঞ তৎপুরুষ সমাস)।

বাক্য

১১. “এই শ্রেণির পাঠক ইংরেজি ভাষার প্রভাব থেকে মুক্ত।”—জটিল বাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ এই শ্রেণির পাঠক যারা তারা ইংরেজি ভাষার প্রভাব থেকে মুক্ত।

১২. “তার মানেও স্পষ্ট হবে না।”—হ্যা-বাচক বাক্যে রূপান্তর করো।
উত্তরঃ তার মানেও অস্পষ্ট হবে।

১৩. “তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা আবশ্যক।”—না-বাচক বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা অনাবশ্যক নয়।

১৪. “যত দিন উপযুক্ত ও প্রামাণিক বাংলা শব্দ রচিত না হয় তত দিন ইংরেজি শব্দই বাংলা বানানে চালানো ভালো।”—সরলবাক্যে রূপ দাও।
উত্তরঃ উপযুক্ত ও প্রামাণিক বাংলা শব্দ রচিত না হওয়া পর্যন্ত ইংরেজি শব্দই বাংলা বানানে চালানো ভালো।

১৫. “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলন খুব বড়ো নয়।”—হ্যা-বাচক বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তরঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলন খুব ছোটো।

বাচ্য

১৬. “অনেক রকম স্থূল তথ্যও তাদের জানা থাকতে পারে।”—কর্তৃবাচ্যে লেখো।
উত্তরঃ অনেক রকম স্থূল তথ্যও তারা জানতে পারে।

১৭. “ছেলেবেলায় আমাকে ব্ৰত্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি পড়তে হয়েছিল।”—কর্তৃবাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ ছেলেবেলায় আমি ব্ৰত্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি পড়েছিলাম।

১৮. “অনেক লেখক এখনও আয়ত্ত করতে পারেননি।”—ভাববাচ্যে রূপান্তর করো।
উত্তরঃ অনেক লেখকের এখনও আয়ত্ত করা হয়নি।

১৯. “প্রথমটি শুধু আভিধানিক অর্থ প্রকাশ করে।”-কর্মবাচ্যে রূপ দাও।
উত্তরঃ প্রথমটির দ্বারা শুধু আভিধানিক অর্থ প্রকাশ করা হয়।

২০. “তাদের নুতন করে শিখতে হচ্ছে।”—ভাববাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ তাঁদের নূতন করে শেখা হচ্ছে।


রচনাধর্মী প্রশ্ন সিন্ধুতীরে (সৈয়দ আলাওল)  প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023 বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – 5) প্রলয়োল্লাস

1. ‘তাতে পাঠকের অসুবিধে হয়’ — কীসে পাঠকের অসুবিধা হয়? কেমন ধরনের অসুবিধা হয়? অসুবিধা দূর করার জন্য কী করা প্রয়োজন?
অথবা,
অনেকে মনে করেন ‘পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়’ — মতটি তুমি কী সমর্থন করো?
উত্তর :মননশীল প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে জানিয়েছেন যে –বৈজ্ঞানিক রচনায় বারবার কোনো একই বিষয়ে বর্ণনা দিতে হলে, অনর্থক কথা বেড়ে যায় এবং একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটে—এতে পাঠকের অসুবিধা হয়।

পরিভাষা ব্যবহার না করার অসুবিধা : রচনায় পরিভাষা ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হল ভাষার সংক্ষিপ্ত অর্থকে সুনির্দিষ্ট করা। এ কারণে পারিভাষিক শব্দ বাদ দিলে সব সময় ভাষা সুন্দর তো হয়ই না উপরন্তু একই কথার পুনরাবৃত্তিতে লেখাটি জর্জরিত হয়ে ওঠে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে পারিভাষিক শব্দ বাদ দেওয়া যেতে পারে। যেমন “অমেরুদন্ডী” শব্দের বদলে লেখা যেতে পারে “যেসব জন্তুর শিরদাঁড়া নেই”। কিন্তু “আলোরতরঙ্গ” পরিভাষার পরিবর্তে “আলোর নাচন” বা “আলোর কাপন” লিখলে রচনার মূল বিষয়টি অনাবশ্যকভাবে জটিল এবং হাস্যকর হয়ে ওঠে।

অসুবিধা দূর করার উপায় : পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের জনগণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান যেহেতু নগণ্য, তাই বিজ্ঞানের জটিল কঠিন নাম বা পরিভাষা তাদের কাছে দুর্বোধ্য বলে মনে করা হয়। আবার পরিভাষা বাদ দিয়ে একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটালে লেখাটি জটিল হয়ে ওঠে। এই অসুবিধা দূরদূ করার জন্য, প্রাবন্ধিক আমাদের একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায় জানিয়েছেন। প্রাবন্ধিকের মতে বাংলা ভাষায় যেসব বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে অঙ্ক পরিচিত বা নবাগত পারিভাষিক শব্দের প্রথম য়াগের সময় তার সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা এবং প্রয়োজনে শব্দটির ইংরেজি নামটি ব্যবহার করতে হবে।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে শুধু বাংলা পরিভাষাটি উল্লেখ করলেই চলবে।

2. “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় এখনও নানা রকম বাধা আছে।” – এই বাধা দূর করতে লেখক কী কী পরামর্শ দিয়েছেন তা আলােচনা করাে। ৫ [মাধ্যমিক ২০১৭]
অথবা,
‘এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বাংলায় বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না” — সেই দোষ থেকে মুক্তির উপায়গুলি লেখো।
অথবা,
তাতে পাঠকের অসুবিধে হয়’ — অসুবিধা দূরীকরণের জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন?

উত্তর :খ্যাতকীর্তি প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার বাধাগুলিকে দূরীকরণের জন্য পদক্ষেপ দিয়েছেন।

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বাধাগুলিকে দূরীকরণের উপায় :

  1. পাঠকদের প্রাধান্য দান :সমস্ত শ্রেণির পাঠকদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা করতে হবে।
  2. বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার :এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার ঘটালেই বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।
  3. তথ্য যাচাই করানো :পত্রিকায় কোনো বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশের আগে, প্রবন্ধের বিষয়বস্তুকে অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা যাচাই করিয়ে নিতে হবে।
  4. পারিভাষিক শব্দের ব্যাখ্যা : অল্প পরিচিত পারিভাষিক শব্দের প্রথমবার প্রয়োগের সময় তার ব্যাখ্যা ও ইংরেজি নাম উল্লেখ করতে হবে।
  5. সরল ও স্পষ্ট ভাষার ব্যবহার :বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে ভাষাগত আড়ষ্টতা ত্যাগ করতে হবে। লেখার ভাষা হতে হবে অত্যন্ত সরল, সাবলীল ও অলঙ্কারহীন।
  6. সঠিক অনুবাদ পদ্ধতি :অনেক লেখক ইংরেজিতে ভেবে হুবহু বাংলায় অনুবাদ করেন, এমন কাজ বাংলা ভাষার প্রকৃতি বিরুদ্ধ। তাই আক্ষরিক অনুবাদের চাইতেও ভাবানুবাদে প্রাধান্য দিতে হবে।
  7. পারিভাষিক শব্দের অভাব মেটানো :পারিভাষিক শব্দের অপ্রতুলতাই বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা র প্রধান বাধা। পারিভাষিক শব্দের চাহিদা মেটাতে এককভাবে পরিভাষা সংকলনের কাজ না করে, সমবেতভাবে সংকলনের কাজ করতে হবে।

3. “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় এখনও নানারকম বাধা আছে।”- লেখক কোন্ ধরনের বাধার কথা বলেছেন? ৫ [মাধ্যমিক ২০২০]

উত্তর :খ্যাতকীর্তি প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার বাধাগুলিকে চিহ্নিত করেছেন।

➫ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বাধা :

  1. পরিভাষার অপ্রতুলতা : উপযুক্ত পারিভাষিক শব্দের অভাব বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়।
  2. ভাষাগত বিরোধ : ইংরেজি ভাষার প্রতি অতিরিক্ত পক্ষপাত এবং মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা এই বিরোধ ভাষাগত বিরোধ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বাধা সৃষ্টি করেছে।
  3. তথ্যগত বিভ্রান্তি : আধুনিককালের বড়ো সমস্যা হল তথ্যগত বিভ্রান্তি। কারণ অতি অল্প জেনেই অনেক লেখক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচনা করার দুঃসাহস দেখান এবং নানা ভুল তথ্য পরিবেশন করেন।
  4. বৈজ্ঞানিক বোধের স্বল্পতা : বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার আর একটি অসুবিধা হল পপুলার সাইন্সের অভাব। তাছাড়া পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এ দেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও চেতনা নগণ্য।
  5. ত্রূটিযুক্ত রচনার পদ্ধতি : বিজ্ঞান আলোচনার জন্য যে রচনার পদ্ধতি আবশ্যক তা অনেক লেখকেরা এখনো আয়ত্ত করে উঠতে পারেননি। তাঁদের ভাষাগত আড়ষ্টতা এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদে দুষ্ট রচনা পাঠকের মনে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

4. ‘বিজ্ঞান আলোচনার জন্য কোন রচনার পদ্ধতি আবশ্যক বলে প্রাবন্ধিক মনে করেছেন?
অথবা,
‘বিজ্ঞান আলোচনার জন্য যে রচনার পদ্ধতি আবশ্যক তা অনেক লেখক এখনো আয়ত্ত করতে পারেননি’ — প্রাবন্ধিকের মতে সঠিক রচনার পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো।
অথবা,
এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না – কোন দোষের কথা বলা হয়েছে? কীভাবে এই দোষ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে?
অথবা,
‘এতে রচনা উৎকট হয়’ — কীসের রচনা উৎকট হয়ে ওঠে? কীভাবে এই ত্রুটি দূর করা যায়?

উত্তর :দোষের পরিচয় : মননশীল প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুতাঁর “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে জানিয়েছেন যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান আলোচনার সঠিক পদ্ধতিটি অনেক লেখক এখনো রপ্ত করতে পারেননি। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ভাষা সাবলীলতা হারিয়ে ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ দোষে দুষ্টদু হয়ে পড়ে।

দোষ মুক্তির উপায় : প্রাবন্ধিকের মতে বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক সাহিত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে গেলে লেখকদের সঠিক রচনার পদ্ধতি আয়ত্ত করা একান্ত প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন —

(ক) সঠিক শব্দ প্রয়োগ : অনেক লেখক ইংরেজি শব্দের অর্থব্যাপ্তি বাংলা প্রতিশব্দে হুবহু আনতে গিয়ে অদ্ভুত সব শব্দ প্রয়োগ করে বসেন। প্রাবন্ধিক এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতে, বাংলায় ব্যাপক অর্থদ্যোতক ইংরেজি শব্দের জন্য অর্থভেদে উপযুক্ত শব্দ প্রয়োগ করা উচিত।

(খ) ত্রুটিমুক্ত অনুবাদ : অনেক লেখক তাদের বক্তব্যকে ইংরেজিতে ভাবেন এবং সেই ভাবনাকেই হুবহু বাংলায় অনুবাদ করার চেষ্টা করে রচনাটিকে উৎকট করে তোলেন। বৈজ্ঞানিক সাহিত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে গেলে লেখকদের উচিত আক্ষরিক অনুবাদের বদলে ভাবানুবাদে প্রাধান্য দেওয়া।

(গ) পারিভাষিক শব্দের সঠিক ব্যবহার : অনেক লেখক পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটান এবং লেখাকে অনর্থক দীর্ঘায়িত করে তোলেন—যা পড়তে গিয়ে পাঠককে অসুবিধায় পড়তে হয়। এই কারণে বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে সঠিক পরিভাষার ব্যবহার একান্তভাবে জরুরি।

5. “যে লোক আজন্ম ইজার পরেছে তার পক্ষে হঠাৎ ধুতি পরা অভ্যেস করা একটু শক্ত”—কোন প্রসঙ্গে লেখকের এই মন্তব্য তা বিশদে লেখো।
অথবা,
“তখন তাকে পূর্বসংস্কার দমন করে প্রীতির সহিত মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে”—কাদের সম্পর্কে এই মন্তব্য? মন্তব্যের কারণ কী?
অথবা,
“এই কারণে পাশ্চাত্য পাঠকের তুলনায় তার পক্ষে একটু বেশি চেষ্টা আবশ্যক”—কারণটি কী? এ প্রসঙ্গে কেমন চেষ্টা করতে বলা হয়েছে?
অথবা,
দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকদের বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ পড়ার ব্যাপারে প্রাবন্ধিক কী কী পরামর্শ দিয়েছেন?

উত্তর :মননশীল প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুতাঁর “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে আমাদের দেশের ইংরেজি জানা পাঠকবর্গ অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকদের সীমাবদ্ধতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রদত্ত উপমা বাক্যটি ব্যবহার করেছেন।

ইংরেজি জানা তথা ইংরেজিতে বিজ্ঞান পড়া দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকবর্গ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। কারণ তারা ইংরেজিতেই অভ্যস্ত। দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকদের এই সীমাবদ্ধতা বর্ণনা প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক জানিয়েছেন — এদের যদি ইংরেজি ‘জিওমেট্রির বদলে বাংলা ‘জ্যামিতি’ পড়ানো হয় তবে তারা মোটেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না। “একটি নির্দিষ্ট সীমা বিশিষ্ট সরলরেখার উপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কিত করিতে হইবে”- জ্যামিতির এই সহজে লাইনটিও তাদের কাছে সুশ্রাব্য ঠেকবে না, বোধগম্যও হবে না।

মানুষ হল অভ্যাসের দাস। ইজার আর ধুতি পরার নিয়ম আলাদা। এ কারণে যে ব্যক্তি আজন্ম ঢিলে পাজামা পরেছে তার পক্ষে হঠাৎ করে ধুতি পরা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি আজন্ম ইংরেজিতে বিজ্ঞান পড়া দ্বিতীয় শ্রেণির পক্ষেও হঠাৎ করে বাংলা ভাষায় সন্দর্ভ পড়া সহজ নয়।

যদিও, ভাষাগত সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকেরা ইংরেজির প্রতি পক্ষপাত বর্জন করে প্রীতির সঙ্গে মাতৃভাষা আয়ত্ত করতে পারলেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

6. আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন’ — শব্দের ত্রিকথা কী? এটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করো। বিজ্ঞান নির্ভর রচনার ক্ষেত্রে এদের ব্যবহার কতদূর গ্রহণযোগ্য? ১+৪

উত্তর :খ্যাতকীর্তি প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুরচিত ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধ থেকে প্রদত্ত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান

আলংকারিকদের মতে শব্দের ত্রিবিধ কথা হল–অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা।

অভিধা :অভিধা হল শব্দের আভিধানিক অর্থ বা সরল অর্থ। অর্থাৎ একটি শব্দের যে অর্থ অভিধানে দেওয়া থাকে, সেটিই ওই শব্দের অভিধা।
যেমন :চোর শব্দের অভিধা হল তস্কর, আকাশ শব্দের অভিধা গগন।

লক্ষণা :লক্ষণা বলতে বোঝায় শব্দের এমন অর্থ যা অভিধা অর্থকে সম্পূর্ণ অতিক্রম করে না, অভিধার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিশেষ অর্থ বোঝায়।
যেমন :’দেশের লজ্জা’ বললে দেশবাসীর লজ্জা বোঝায়। ‘মনের মানুষ’ বললে বোঝায় মনের মতো বা প্রিয় মানুষ।

ব্যঞ্জনা :অভিধা বা লক্ষণার দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব পরিস্ফুট হয় না, তখন অর্থ বোঝানোর জন্য ব্যঞ্ছনা প্রযুক্ত হয়।
যেমন — ‘অরণ্যের রোদন’ শব্দটির অর্থ ‘বনের কান্না’ নয়, ব্যঞ্জনার সেই শব্দটির অর্থ হল ‘নিষ্ফল খেদ’।

এই ত্রিবিধের ব্যবহার বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করলেও, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে এদের ব্যবহার যত কম হবে ততই ভালো। অন্যথায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ জটিল রূপ ধারণ করবে। এ প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক আরো জানিয়েছেন যে, কখনো কখনো প্রয়োজন অনুসারে ‘উপমা’ ও ‘রূপক’ বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে ব্যবহার হতে পারে, তবে ‘ছন্দ-অলংকার’ কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।

7. ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ শীর্ষক প্রবন্ধটিতে পরিভাষা রচনা প্রসঙ্গে লেখক যে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তা আলােচনা করাে। ৫ [মাধ্যমিক ২০১৮]

উত্তর : রাজশেখর বসু ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ নামক প্রবন্ধে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে যেসব বাধার কথা বলেছেন তার অন্যতম হল পারিভাষিক শব্দের অভাব। একবার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী লেখক নানা বিষয়ে পরিভাষা রচনা করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু তাঁরা কাজটি একত্রে করেননি, ফলে নতুন রচিত পরিভাষাগুলির মধ্যে সমতা ছিল না। একই বিষয়ের অনেকগুলি করে পরিভাষা তৈরি হয়েছিল। বরং ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি অনেক একত্রিতভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মানুষদের নিয়ে পরিভাষা সংকলন তৈরি করতে পেরেছিল। তবে সংকলনটি আরও পূর্ণাঙ্গ হওয়া প্রয়োজন বলে প্রাবন্ধিক মনে করেছেন। পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা সম্ভব নয়, আবার পরিভাষা তৈরির সময় বিজ্ঞান আলোচনার যে নিজস্ব রচনাপদ্ধতি রয়েছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির থেকে সাহায্য নিয়ে সকলে মিলে নতুন পরিভাষা গড়ে তোলা।

8. “পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য।” লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী? ৫ [মাধ্যমিক ২০১৯]

উত্তর : বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান যারা পড়েন, তাদের স্বরূপ নির্ণয় করতে গিয়ে লেখক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের পাঠকদের দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। প্রথম শ্রেণি, যাঁরা ইংরেজি জানেন না বা খুব অল্প জানেন, দ্বিতীয় শ্রেণি যাঁরা ইংরেজি জানেন এবং ইংরেজি ভাষায় কিছু বিজ্ঞান বই পড়েছেন। পাশ্চাত্যের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে এ দেশের মানুষের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা তিনি বলেছেন। বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলির সঙ্গে পরিচয় না থাকলে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বোঝা সম্ভব নয়। ইউরোপ আমেরিকায় পপুলার সায়েন্স লেখা খুব সহজ, কারণ সাধারন মানুষ অনায়াসে তা বোঝে। কিন্তু আমাদের দেশের সামাজিক পরিস্থিতি এতটা সহজ নয়। এখানে বয়স্কদের জন্য যা লেখা হয়, তা প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতো গোড়া থেকে না লিখলে তাঁদের বোঝাবার মতো সহজ হয় না। বাংলা ভাষায় যাঁরা বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখি করেন, তাঁদের জনপ্রিয়তা পেতে গেলে এই বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তার ঘটানোর প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে গিয়ে প্রাবন্ধিক এই কথাগুলো বলেছেন। মনে রাখা দরকার যে, বিজ্ঞানশিক্ষার প্রসার যথাযথ না হলে বিজ্ঞান বিষয়ক সাহিত্যের বিকাশ ঘটাও সম্ভব নয়। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *