সিন্ধুতীরে Madhyamik Bengali Suggestion 2023

সিন্ধুতীরে Madhyamik Bengali Suggestion 2023

সিন্ধুতীরে Madhyamik Bengali Suggestion 2023
মাধ্যমিক সিন্ধুতীরে সাজেশন ২০২4

সিন্ধুতীরে Madhyamik Bengali Suggestion 2024 | মাধ্যমিক সিন্ধুতীরে সাজেশন ২০২4 যদি যদি কোন কিছু বাদ পড়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমরা অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আমরা এই যে সাজেশন তৈরি করে দিলাম এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য তো অবশ্যই কিন্তু full সাজেশনটা আপনারা কমপ্লিট করে নেবেন কারণ সমস্ত প্রশ্ন মাথায় রেখে এই সাজেশনটা তোমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নিচে পিডিএফও দেওয়া রয়েছে অবশ্যই তোমরা পিডিএফ তাকে করে নেবে এবং তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দেবে। Madhyamik Bengali সিন্ধুতীরে Suggestion 2023

যদি কারো কোন কিছু জানার থাকে বা বলার থাকে অবশ্যই নিজের কমেন্ট বক্সটিতে ক্লিক করে কমেন্ট করে দেবেন তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হবে কার কোথায় অসুবিধা রয়েছে বা সুবিধা হচ্ছে। Madhyamik Bengali সিন্ধুতীরে Suggestion 2023

আশা করব সম্পূর্ণ সাজেশনটা তোমাদের খুব কাজে আসবে তাই অনেক কষ্ট করে এই সাজেশনটা বানানো হয়েছে।

Madhyamik Bengali সিন্ধুতীরে Suggestion 2023 দেবে তাদের জন্য কিন্তু এই অংকে সাজেশনটা তৈরি করা হয়েছে। ২০২৩ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যদি আরও কোন সাজেশন লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করুন বা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং সার্চ বক্সে আপনি আপনার প্রশ্নটি লিখুন দেখবেন তার উত্তর নিচে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং সমস্ত সাবজেক্টের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েব পেজটাকে বুক মার্ক করে রাখুন তাতে তোমাদের সুবিধা হবে।

চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত হতে পারো টেলিকম চ্যানেলের লিংক নিচে দেওয়া রয়েছে ধন্যবাদ। Madhyamik Bengali সিন্ধুতীরে Suggestion 2023

মাধ্যমিক সিন্ধুতীরে সাজেশসাজেশন ২০২4

 


অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) সিন্ধুতীরে ( সৈয়দ আলাওল ) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023

  1. “কন্যারে ফেলিল যথা…।” – কন্যাকে কোথায় ফেলা হয়েছিল?
    উত্তর : কন্যাকে ফেলা হয়েছিল সমুদ্রের মাঝখানে দিব্যপুরীতে।
  2.  “অতি মনোহর দেশ…।” — কোন্ দেশকে ‘অতি মনোহর’ বলা হয়েছে?
    উত্তর : সমুদ্রের মাঝে দিব্যপুরীকে ‘অতিমনোহর দেশ’ বলা হয়েছে।
  3. “তার পাশে রচিল উদ্যান।।” — কার পাশে উদ্যান রচনা করা হয়েছিল?
    উত্তর : সমুদ্রতীরে যে-দিব্যস্থান ছিল—তার ওপরে ফল-ফুলে সজ্জিত পর্বতের পাশে উদ্যান রচনা হয়েছিল।
  4. “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি” — কোথাই ‘বিচিত্র টঙ্গি’ ছিল?
    উত্তর : সিন্ধুতীরে দিব্যস্থানে যে-সুন্দর উদ্যান—সেই উদ্যানেই ছিল বিচিত্র টঙ্গি।
  5. “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ।” — উদ্ধৃতাংশে কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে?
    উত্তর : উদ্ধৃতাংশে রূপকথার সমুদ্রপুরীর সমুদ্রকন্যা সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে।
  6.  “সিন্ধুতীরে রহিছে মাস।।” – উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ কী? তা কীসের জন্য রয়েছে?
    উত্তর : উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ হল ভেলা জাতীয় জলযান বিশেষ। এটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার যাতায়াতের জন্য রয়েছে।
  7. “অনুমান করে নিজ চিতে।”—কে, কী অনুমান করে?
    উত্তর : সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের হৃদয়ে অনুমান করে যে, হয়তো কোনো স্বর্গীয় অপ্সরী দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে মর্তে অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।
  8.  “দেখে চারি সখী চারিভিত।” – উদ্ধৃতাংশে কোন্ চার সখীর কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর : উদ্ধৃতাংশে মূৰ্ছিতা পদ্মাবতীর চারদিকে যে চারজন সখী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।
  9. “বেকত দেখিয়ে আঁখি”—উদ্ধৃতাংশটি কোন কবিতার অন্তর্গত? ‘বেকত কথাটির অর্থ কী?
    উত্তর : উদ্ধৃতাংশটি ‘সিন্ধুতীরে’ শীর্ষক কবিতার অন্তর্গত এবং ‘বেকত’ কথাটির অর্থ হল প্রকাশিত।
  10. “মোহিত পাইয়া সিন্দু-ক্লেশ।।”—কথাটির অর্থ কী?
    উত্তর : সমুদ্রকন্যা পদ্মা মূৰ্ছিত পদ্মাবতীকে দেখে অনুমান করেছেন যে, হয়তো সমুদ্রের প্রবল ঝড়ে নৌকা ভেঙে সমুদ্র-ক্লেশে পীড়িত হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে।
  11. “বাহুরক কন্যার জীবন।”–‘বাহুরক’কথাটির অর্থ কী? কোন কন্যার জীবন সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর : ‘বাহুরক’কথাটির অর্থ হল ফিরে আসুক। অচৈতন্য কন্যা পদ্মাবতী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।
  12. “বিধি মোরে না কর নৈরাশ।।”—উক্তিটি কার? তার এরূপ উক্তির কারণ কী?
    উত্তর : উক্তিটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার। সে স্নেহপ্রবণ মন থেকে অচৈতন্য পদ্মাবতীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য যে চেষ্টা করছে, তার থেকে যেন সে বঞ্চিত না-হয়। চেতনা ফিরিয়ে আনাটাই তার মুখ্য প্রত্যাশা। তাই সে এমন উক্তি করেছে।
  13. “উদ্যানের মাঝে নিল/পঞজনে বসনে ঢাকিয়া।” –কে, কাদের উদ্যানের মাঝে নিল?
    উত্তর : সমুদ্রকন্যা পদ্মার নির্দেশে তার সখীরা অচৈতন্য চার সখীসহ পদ্মাবতীকে উদ্যানের মাঝে নিল।
  14. “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।”—পকন্যা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?
    উত্তর : সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের নিয়ে অচৈতন্য পঞ্চকন্যাদের বহু যত্নে সেবা শুশ্রুষা করে চেতনা ফিরিয়ে আনল।
  15. “চিকিৎসিমু প্রাণপণ /কৃপা কর নিরঞ্জন”—এ আবেদন কার?
    উত্তর : ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাংশে এ-আবেদন পদ্মার।
  16. সখীরা অচৈতন্য কন্যার কতক্ষণ চিকিৎসা করেছিল?
    উত্তর : সখীরা অচৈতন্য কন্যার চারদণ্ড ধরে চিকিৎসা করেছিল।
  17. ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে?
    উত্তর : ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কবি সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্য থেকে গৃহীত হয়েছে।
  18. কবি সৈয়দ আলাওল কোন সময়ের কবি ছিলেন?
    উত্তর : সৈয়দ আলাওল সপ্তদশ শতকের কবি ছিলেন।
  19. ‘বাহুরক কন্যার জীবন’- কীভাবে পঞ্চকন্যা জীবন ফিরে পাবে বলে পদ্মার বিশ্বাস ছিল?
    উত্তর : সমুদ্রকন্যা পদ্মার বিশ্বাস এই যে, তার পিতার পুণ্যফলে এবং তার নিজের ভাগ্যের জোরে উক্ত পঞ্চকন্যা পুনরায় জীবন ফিরে পাবে।
  20. ‘অতি মনােহর দেশ’ – সেই দেশকে মনােহর বলা হয়েছে কেন?
    উত্তর : সেই দেশ অর্থাৎ সমুদ্র-মধ্যবর্তী দিব্যপুরীকে ‘অতি মনোহর দেশ’ বলা হয়েছে কারণ সেখানে দুঃখ যন্ত্রণা ছিল না এবং সর্বদাই সত্য-ধর্ম-সদাচার বিরাজ করতো।
  21. ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’ – ‘কন্যা’ কোথায় থাকে?
    উত্তর : ‘কন্যা’ অর্থাৎ সমুদ্রদুহিতা পদ্মা সমুদ্রতীরের পাশেই এক দিব্যস্থানে বহুরত্নশোভিত প্রাসাদে থাকত।
  22.  ‘অচৈতন্য পড়িছে ভূমিতে।’ – কী কারণে অচৈতন্য হয়ে ভূমিতে পড়েছে?
    উত্তর : সামুদ্রিক ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে চারসখী সহ পদ্মাবতী ভূমিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিল।
  23.  ‘বিধি মােরে না কর নৈরাশ।’ – বিধির কাছে এই প্রার্থনা কেন?
    উত্তর : ‘চিত্রের পোতলি সমা’ পদ্মাবতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাকে সুস্থ করে তুলতে চেয়েছিল। তাই বিধাতার কাছে সে এই প্রার্থনা করেছিল।
  24. ‘পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।’ – কী ভাবে চেতনা ফিরে পেয়েছিল?
    উত্তর : সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীদের সেবা এবং চিকিৎসায় পঞ্চকন্যা ‘চেতন’ ফিরে পেয়েছিল।
  25.  ‘শ্ৰীযুক্ত মাগন গুণী’- মাগন গুণীর পরিচয় দাও।
    উত্তর : মাগন গুণী বা মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজ্যের প্রধান অমাত্য বা প্রধানমন্ত্রী।
  26.  ‘অনুমান করে নিজ চিতে।” – ‘বালা’ কী অনুমান করেছিল?
    উত্তর : ‘বালা’ অর্থাৎ সমুদ্রকন্যা পদ্মা অনুমান করেছিল যে ভূপতিতা রমণী অর্থাৎ পদ্মাবতী হয়তো ইন্দ্রদেবের শাপের ফলে স্বর্গভ্রষ্টা কোনো ‘বিদ্যাধরি’।

প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ৩) সিন্ধুতীরে (সৈয়দ আলাওল) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023 প্রলয়োল্লাস

✅ ‘অনুমান করে নিজ চিতে — কে কী অনুমান করেছিল?

উত্তর :আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গ : সমুদ্রকন্যা পদ্মা একদিন ভোরবেলা সখীদের নিয়ে উদ্যানে যাওয়ার পথে, সিন্ধুতীরে একটি ভেলা দেখতে পান। সেই ভেলাতে চার সখীসহ এক অপরুপা কন্যা অচেতন হয়ে পড়েছিল।

অনুমান : অচেতন কন্যার রূপ – সৌন্দর্যেমোহিত হয়ে পদ্মা অনুমান করেন —
(ক) এ কোনো সাধারণ মানবী নয়।
(খ) অচৈতন্য কন্যাটি অবশ্যই ইন্দ্রশাপে স্বর্গভ্রষ্ট কোনো বিদ্যাধরী।

অপরূপা কন্যার প্রতি মোহিত দশা কেটে যাওয়ার পর; তার এলোমেলো চুল, বিস্ফোরিত চোখ, বেশভূষা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে পদ্মা বুঝতে পারেন যে—সামুদ্রিক ঝড়ে এবং প্রবল বাতাসে এই কন্যার নৌকাটি ভেঙে যাওয়াতেই তার এই দশা।

✅ “দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার” – কোন পুরীকে ‘দিব্য পুরী’ বলা হয়েছে? ‘দিব্য পুরী’ বলার কারণ কী? [১+২]

উত্তর :উত্তর – সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ পদ্য অনুযায়ী সমুদ্ররাজ কন্যার আবাস স মুদ্রমাঝের দ্বীপের কথা বলা হয়েছে।

‘দিব্য’ শব্দের অর্থ ঐশ্বরিক এবং ‘পুরী’ শব্দের অর্থ নগরী। কবি এই শব্দবন্ধটি দিব্যস্থান বোঝাতে ব্যবহার করেছেন। কবির বর্ণনায় আমরা পাই যে সমুদ্রঘেরা দ্বীপটি পর্বত দ্বারা ঘেরা এবং সেখানের উদ্যানে ফল এবং ফুলের প্রাচুর্য লক্ষ্যনীয়। সেই নগরী বড়ই মনোরম, সেখানে কোনো দুঃখ ও কষ্ট নেই, সেখানে সর্বদাই সত্য ধর্ম পালিত হয়। ঐ নগরীতেই রয়েছে একটি ‘বিচিত্র টঙ্গি’ বা প্রাসাদ যা সোনা এবং রত্ন দ্বারা শোভিত হয়। তাই কবি এই স্বর্গসম স্থানটিকে দিব্যপুরী বলেছেন।

✅ ‘বিস্মিত হইল বালা’—বালা কে? তাঁর বিস্ময়ের কারণ কী?

উত্তর  :আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

➫ বালা’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল বালিকা। কিন্তু প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘বালা’ বলতে সমুদ্রকন্যা পদ্মাকে বোঝানো হয়েছে। সমুদ্রকন্যা পদ্মা একদিন প্রভাতে সখী পরিবৃতা হয়ে নিজের সুরম্য উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন। সেইসময় সিন্ধুতীরে একটি মাঞ্জস পড়েছিল। কৌতূহলী পদ্মা সেখানে ছুটে যান এবং দেখেন মাঞ্জুসেঞ্জু চার সখী বেষ্টিত এক অপরূপা কন্যা অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই লাবণ্যময়ী কন্যার অসামান্য রূপ সৌন্দর্যএবং হতভাগ্য অবস্থান প্রত্যক্ষ করে পদ্মা বিস্মিত হয়েছিলেন।

✅ সিন্ধুতীরে দেখে দিব্য স্থান’ — কোন স্থানকে দিব্য বলা হয়েছে? কেন বলা হয়েছে?
অথবা,
‘কন্যারে ফেলিল৷ যথা’ – কন্যাটি কে? তাকে যে স্থানে ফেলা হয়েছিল তার বর্ণনা দাও।
অথবা,
অতি মনোহর দেশ’ — এই মনোহর দেশের সৌন্দর্যের পরিচয় দাও?
অথবা,
‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ – কন্যার নাম কী? সে সর্বক্ষণ যে স্থানে থাকে তার বর্ণনা দাও।
অথবা,
দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার’ – কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে? সেই স্থানটির বর্ণনা দাও।

উত্তর : সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে আমরা একটি সমুদ্র ঘেরা ‘দিব্যপুরীর’ বর্ণনা পাই, যাকে কবি ‘অতি মনোহর দেশ’ বলে চিহ্নিত করেছেন। কবি তাঁর বর্ণনায় বলেছেন, এই অতি সুন্দর দেশটিতে কোন দুঃখ, কষ্ট নেই। ঐ দেশে কেবলমাত্র সদাচারি মানুষ বাস করেন। দেশটি সুউচ্চ পর্বতে ঘেরা, সেখানে ফুল ও ফলের আধিক্য লক্ষ্যনীয়। তাতে আছে এক উদ্যান, যাতে শোভা পায় নানা ধরণের সুগন্ধি ফুল ও ফলন্ত বৃক্ষ। ঐ দিব্য নগরীতেই রয়েছে এক প্রসাদ, যা সোনা ও রত্নে পরিপূর্ণ। সৌন্দর্যপূজারী পদ্মা এই দিব্যস্থানের সৌন্দর্যেমোহিত হয়ে, সেখানেই সুসজ্জিত এক দিব্যপুরি নির্মাণ করে বসবাস করতেন।

✅ ‘বাহুরক কন্যার জীবন’ — বাহুরক কথার অর্থ কী? কোন্প্রসঙ্গে এই মন্তব্য?
অথবা,
‘কৃপা করো নিরঞ্জন’ — বক্তা কেন নিরঞ্জনের কাছে এই প্রার্থনা করেছিলেন?
অথবা,
বিধি মোরে না করো নৈরাশ’ — কে কেন বিধাতার কাছে এই প্রার্থনা করেছিলেন?

উত্তর :আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

➫ সমুদ্রসৈকতে সখী পরিবৃতা এক অপরূপা কন্যাকে (পদ্মাবতীকে) মাঞ্জস মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পদ্মার হৃদয় স্নেহার্দ্র হয়ে পড়ে। তখনও সেই অপরূপা কন্যার জীবনীশক্তি কিছুমাত্র অবশিষ্ট রয়েছে দেখে তাকে বাঁচানোর জন্য পদ্মা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলতে থাকে যথোপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা। শুধুতাই নয় ব্যাকুল পদ্মা বিধাতা তথা নিরঞ্জন-এর কাছে কাতরস্বরে অপরূপা সুন্দরী কন্যার প্রাণ ভিক্ষা করতে থাকেন তিনি জানান- বিধাতা যেন তাকে নিরাশ না করেন, পিতার পুণ্য বা নিজের ভাগ্যের বিনিময় হলেও নিরঞ্জন যেন এই কন্যার প্রাণ ফিরিয়ে দেন।

✅ সখী সবে আজ্ঞা দিল’ – সখীদের কে কী আজ্ঞা দিয়েছিল?

উত্তর :আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

সমুদ্রসৈকতে সখী পরিবৃতা এক অপরূপা কন্যাকে (পদ্মাবতীকে) মাঞ্জস মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পদ্মার হৃদয় স্নেহার্দ্র হয়ে পড়ে। তখনও সেই অপরূপা কন্যার জীবনীশক্তি কিছুমাত্র অবশিষ্ট রয়েছে দেখে তাকে বাঁচানোর জন্য পদ্মা তৎপর হয়ে ওঠেন।

প্রতিকূল এই পরিস্থিতিতে পদ্মা তার সখীদের আদেশ দেন যে, অচৈতন্য কন্যাদের উদ্যানের মাঝে নিয়ে আসা হোক তার নির্দেশ মেনে সখীরা –

(১) পঞ্চকন্যাকে উদ্যানের মাঝে নিয়ে আসে।
(২) নববস্ত্রে পঞ্চকন্যার দেহ ঢেকে দেয়।
(৩) আগুন জ্বেলে অচৈতন্য কন্যাদের মাথায় ও পায়ে সেঁক দিতে থাকে।
(৪) অচৈতন্য কন্যাদের চিকিৎসার জন্য তন্ত্র মন্ত্র ও মহৌষধির প্রয়োগ করতে থাকে।

এভাবেই পদ্মা ও তার সখীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, দন্ডচারেক অক্লান্ত সেবা-শুশ্রুষার পর পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পায়।

✅ ‘শ্ৰীযুত মাগন গুণী’—মাগন গুণী কে? তাঁর সম্পর্কে কেন এই মন্তব্য?
অথবা
‘মোহন্ত আরতি শুনি/ হীন আলাওল সুরচন’—এই মন্তব্যটির প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করো।

উত্তর :আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

➫ আরাকান রাজসভার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাগন ঠাকুর।

➫ বহুভাষাবিদ মাগন ঠাকুর ছিলেন প্রকৃত অর্থেই গুণী ব্যক্তি। তিনি আরাকান রাজসভার সাহিত্যসংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাছাড়া মাগন ঠাকুর কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত হয়েই আলাওল “পদ্মাবতী” কাব্য রচনা করেছিলেন।
—এই কারণে স্বাভাবিকভাবেই তিনি নিজের কাব্যে মাগন ঠাকুরের স্তুতি গেয়ে বলেছেন—গুণী সন্ন্যাসীর শ্রীযুক্ত মাগন ঠাকুরের অনুরাগের কথা শুনেই ক্ষুদ্র কবি আলাওল এই সুন্দর কাব্যটি রচনা করেছেন।


রচনাধর্মী প্রশ্ন সিন্ধুতীরে (সৈয়দ আলাওল)  প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023 বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – 5) প্রলয়োল্লাস

1. সমুদ্র নৃপতি সুতা/পদ্মা নামে গুণযুতা’ — সমুদ্রকন্যা পদ্মার গুণ বা আচার-বিচার আলোচনা করো।
অথবা,
সমুদ্র কন্যা পদ্মা চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

ভূমিকা :সিন্ধু তীরে কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মার চরিত্রটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কবির বর্ণনায় পদ্মার নানান গুণ দেখতে পাওয়া যায়।

পদ্মা চরিত্রের পরিচয় :সমুদ্রের মাঝে এক দিব্যপুরী। যে দিব্যপুরীটি স্বর্গীয় বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল। সেখানেই বাস করেন সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা। একদিন ভােরবেলায় সখীসহ উদ্যানে পরিভ্রমণ করতে এসে তিনি সমুদ্রতীরে একটু ভেলা দেখে অবাক হন। এই ভেলায় ছিলেন শৃঙ্খল রাজকন্যা পদ্মাবতী এবং তার চার সখী। এরা সকলেই অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন। এই দৃশ্য থেকে পদ্মা বিচলিত হয়ে ওঠেন। তারপর সখীদের নির্দশ দেন তাদের উদ্যানের মধ্যে নিয়ে আসতে। শুভমমী পদ্মা। অপরিচিত এই নারীদের বিপদাপন্য অবস্থা দেখে কষ্ট পান এবং খুব তাড়াতাড়ি তাদের সেবাযত্নের ব্যবস্থা করেন। এখানে পদ্মার যেনসিক্ত ও দরদি হৃদয়ের পরিচয়টি বড়াে হয়ে উঠেছে। রাজকন্যা হলেও পদ্মার মনে কোনাে অহংকার নেই। অসহায়কে সেবা করাই তার ধর্ম। অপরিচিত হলেও পদ্মাবতী ও তার সখীদের যেভাবে তিনি জ্ঞান ফিরিয়ে এনেছেন তাতে তার চরিত্রের মহৎ দিক ধরা পড়েছে। এমন মহানুভব মানব চরিত্র মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বিরল।

মূল্যায়ন: প্রকৃতপক্ষে সমুদ্র কন্যার জন্য জীবন ফিরে পেয়েছে পদ্মাবতী ও তার চার সখী। তাই সমুদ্র সুতাপদ্মা মানবীক গুণে পরিপূর্ণ এক অসামান্য নারী, একথা আমরা বলতেই পারি।

2.পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন’ – পঞ্চকন্যা কারা? তারা কীভাবে চেতন ফিরে পেয়েছিল?
অথবা,
‘চিকিৎসিমুপ্রাণপণ’— কে কাদের কীভাবে চিকিৎসা করেছিলেন?
অথবা,
দন্ড চারি এই মতে/বহু যত্নে চিকিৎসিতে’–এই চিকিৎসা প্রণালীর বর্ণনা দাও।

উত্তর : আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা থেকে প্রদত্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

সিন্ধুতীরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা অপরূপা কন্যাসহ তার চার সখীকে পঞ্চকন্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে। সমুদ্র কন্যা পদ্মা সিন্ধুতীরে পড়ে থাকা ভেলা মধ্যস্থ পঞ্চকন্যাকে উদ্ধার করেন। তাদের চেতনা ফেরানোর জন্য পদ্মা সর্বপ্রথম নিরঞ্জন-এর কাছে প্রার্থনা করেন। সেই সঙ্গে চলতে থাকে উপযুক্ত চিকিৎসার আয়োজন। পদ্মার নির্দেশে সখীরা পঞ্চকন্যাকে নববস্ত্রে ঢেকে উদ্যান মাঝে নিয়ে যান। সেখানে আগুনের শেক দিয়ে এবং তন্ত্র-মন্ত্র ও মহৌষধি প্রয়োগ করে দণ্ড চারেক অক্লান্ত সেবা-শুশ্রূষার পর কন্যা চেতনা ফিরে পায়।

3. সিন্ধুতীরে কবিতায় দিব্যস্থানটির পরিচয় দাও?
ভূমিকা : সৈয়দ আলাওলের পদ্মাবতী কবিতায় সমুদ্রকন্যা পদ্মা যেখানে থাকতেন সেই স্থানটি ছিল দিব্যস্থান। অনুপম বর্ণনায় সেই স্থানের পরিচয় দিয়েছেন কবি সৈয়দ আলাওল।

দিব্যস্থানের পরিচয় : পদ্মাবতী কাব্যে সৈয়দ আলাওল সিন্ধু তীরের বর্ণনায় ঐশ্বর্য বিলাসময় বাংলাদেশের দৃশ্যকে তুলে ধরেছেন, পদ্মা সমুদ্রকন্যা অনুসারে। সিন্ধু তীরে কবিতায় অচৈতন্য পদ্মাবতীর পড়ে থাকা অবস্থায় সেই স্থানটির অপরুপ বর্ণনা দিয়েছে। অতি মনােহর দেশ, সেখানে দুঃখ, কষ্ট কিছু নেই সর্বদা সত্য ধর্ম বিরাজমান। আহত এবং সঙ্গাহীন পদ্মাবতীকে যে স্থান থেকে সমুদ্রকন্যা। পরা উদ্ধার করে সেই স্থানে সমুদ্র মধ্যবর্তী অঞ্চলে এক দিব্য ক্রান্তি, সুন্দর। প্রাসাদের অবস্থান এবং এক পার্বত্য প্রদেশের কোলে সুন্দর উদ্যানের অবস্থিতি লক্ষ্য করা যায়- উপরে পর্বত এক ফল ফুলে অচিরেক তার পাশে রচিল উদ্যান।

এই স্থানটিকে দিব্যন রুপে কবি অঙ্কন করেছেন। কারণ উদ্যানটি নানা ফল, ফুল, বৃক্ষ ও লতাগুল্মে পরিপূর্ণ। এছাড়া সেই উদ্যানে সুগন্ধি মনােহর ফুল এবং সুলক্ষণ যুক্ত বৃক্ষ রয়েছে এবং বাগানের পাশে স্বর্ণখচিত এক সুন্দর প্রাসাদ রয়েছে। যেখানে সমুদ্রকন্যা সর্বদা অবস্থান করে। কবির কল্পনায় এটি দিব্যপুরী।

মূল্যায়ন : মধ্যযুগের কবি সৈয়দ আলাওল অপুর্ব বর্ণনায় এই বাগানের এবং প্রাসাদের পরিচয় দিয়েছেন যা কল্পনার অতীত। তাই কবির ভাষায় মনােহর রূপ ধারণ করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *